বরগুনা বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ও জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল পূর্বে পটুয়াখালি এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট।
বরগুনা জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো; সোনাকাটা সমুদ্র সৈকত, লালদিয়া বন, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, হরিন ঘাটা ও বিবিচিনি মসজিদ ইত্যাদি।
বাংলার ভেনিস খ্যাত বরিশাল জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি, দুর্গাসাগর দিঘী, গুঠিয়া মসজিদ, ভাসমান পেয়ারা বাজার, সাতলা শাপলা গ্রাম, বিবির পুকুর, ব্রজমোহন কলেজ, জীবনানন্দ দাশ এর বাড়ি, অক্সফোর্ড মিশন গীর্জা, বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শ্বেতপদ্ম পুকুর, মুকুন্দ দাসের কালিবাড়ি ও শের-ই-বাংলা জাদুঘর ইত্যাদি।
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ জেলা ভোলা যা কুইন আইল্যান্ড অফ বাংলাদেশ নামে পরিচিত। ভোলা জেলার ঘুইঙ্গার হাটের মিষ্টি ও ঘোষের দধির সুনাম সারাদেশ ব্যাপী। বিভিন্ন চর ও দ্বীপ ভ্রমণের জন্যে ভোলা পর্যটকের জন্যে পছন্দের গন্তব্য। ভোলা জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে মনপুরা দ্বীপ, চর কুকরি মুকরি, ঢাল চর ও জ্যাকব টাওয়ার উল্লেখযোগ্য।
ঝালকাঠি পূর্বে বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১ এপ্রিল ১৮৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার গোড়াপত্তন হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে সেনাবাহিনী কর্তৃক কুলকাঠিতে ১৭ জন মুসলমান নিহত হন। স্থানীয় দাঙ্গা নিরসন ও শৃঙ্খলা প্রদানের জন্য ১৮৮২ সালে ঝালকাঠিতে একটি পুলিশ থানা স্থাপন করা হয়। নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বাণিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝালকাঠি সদর উপজেলার রেজাউল করিম ২৪ সদস্য বিশিষ্ট মানিক বাহিনী গড়ে তোলেন। কিছু স্থানীয় রাজাকার এর সহায়তায় ১৬ই জুন ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনী তাদের হত্যা করে।
২৭শে এপ্রিল হানাদার বাহিনী ঝালকাঠি শহরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭২ সালের ১ জুলাই, ঝালকাঠি থানাকে বরিশাল জেলার মহকুমায় উন্নীত করা হয়। [৩] ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ঝালকাঠি থানাকে বরিশাল জেলা থেকে পৃথক করে পূর্ণাঙ্গ জেলায় পরিণত করা হয়।
প্রধান নদী:
১.কীর্তনখোলা নদী ২.খায়রাবাদ নদী ৩.বিষখালী নদী ৪.সুগন্ধা নদী
৫.ধানসিঁড়ি নদী, ৬.গাবখান নদী ৭.জাংগালিয়া নদী ও ৮.বাসন্ডা নদী।
অর্থনীতি:
প্রধান শস্য: ধান।
প্রধান ফল: আম, কলা, জলপাই, কাঠাল তাল, লিচু, নারিকেল, আমড়া, পেয়ারা।
শিল্প-কারখানা: বরফকল, ময়দার কল, লবন কারখানা, ধান কল, তেলের কল, বিড়ি কারখানা।
sdf
বৈচিত্র্যে ভরপুর পিরোজপুর জেলা সুন্দরবনের কোলঘেঁষা বলেশ্বও, কালীগঙ্গা, দামোদও সন্ধা বিধৌদ প্রাকৃতিক সবুজের এক অনন্য সুন্দও জেলা। পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক ভ্রমণ স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; স্বরুপকাঠীর পেয়ারা বাগান, কুড়িয়ানা পেয়ারা বাজার, আটঘর আমড়া বাগান, ডিসি পার্ক, রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ি, করি আহসান হাবিব এর বাড়ি, আজিম ফরাজীর মাজার, সারাংকাঠী পিকনিক স্পট, পারেড় হাট জমিদার বাড়ি, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক ইত্যাদি।